আপনি কি স্বীকার করেন যে ব্যক্তিগত লোন স্বল্প মেয়াদী যেকোনো প্রয়োজনে এটি ত্রাণকর্তা হিসেবে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এই ধারণা প্রচলিত এই যে এটি একসময় আপনাকে ঋণের জালে জর্জরিত করতে পারে অথবা আপনাকে অনন্যা উচ্চতা পৌঁছে দিতে পারে। এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে, আপনি এটাকে কীভাবে ব্যবহার করছেন তার উপরে। আসুন আমরা জেনে নেই সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল ধারনা সম্পর্কে।
ভুল ধারনা # ১ঃ ব্যক্তিগত ঋন ব্যয়বহুল
বেশিরভাগ মানুষের ব্যক্তিগত ঋণ থেকে দূরে থাকার এটি একটি অন্যতম কারণ। সাধারণত ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হার ১০ থেকে ১৪ পর্যন্ত হয়ে থাকে যেটা কি না ক্রেডিট কার্ডের চেয়ে অনেক কম। অথচ তাৎক্ষণিক টাকার প্রয়োজনে আমরা বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ড কেই বেছে নিন এবং এটি অধিক জনপ্রিয় যেহেতু ঝামেলা কম এবং এমনকি ব্যাংকে যাওয়ার ও প্রয়োজন পড়ে না। অথচ ঝামেলার দিক বিবেচনায় আমরা আর্থিক ক্ষতিটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
ভুল ধারনা # ২ঃ শুধুমাত্র বেতনভোগী কর্মচারীরাই যোগ্য।
ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়ার জন্য আপনার অফার লেটার, বেতন স্লিপ এবং একটি কোম্পানির আইডি দরকার এমন একটি ভুল ধারণাটি সমজে প্রচলিত। যে কেউ যেমন স্ব-কর্মসংস্থানবিদ, ব্যবসায়ী এবং এমনকি প্রবাসীরাও ব্যক্তিগত ঋণ পেতে পারেন। এটি একটি সুসংবাদ, তাই না?
ভুল ধারনা # ৩ঃ ক্লান্তিকর অনুমোদন প্রক্রিয়া
এটি সাধারণত মানুষকে ব্যক্তিগত ঋণ গ্রহণে অনিচ্ছুক করে তুলে। কিন্তু সব ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে একটি ব্যক্তিগত ঋণ অনুমোদন পেতে সাধারণত ২৪-৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে। কাজেই এটিও স্বপ্ন হলো সত্যি অবস্থা।
ভুল ধারনা # ৪ঃ যা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশির জন্য আবেদন করা
আপনি যোগ্য থাকলেও আপনার যা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি ঋন নেওয়া বা ঋণের জন্য আবেদন একটি বড় ভুল। কারন বেশি ঋণ নিয়ে মাসিক কিস্তির পরিমাণ বাড়ানো এবং সাথে অতিরিক্ত প্রসেসিং ফি দেয়া একটি বোকামি। বরং যা প্রয়োজন সেটাই নেয়া এবং সময়মত সেটা পরিশোধ করলে আপনার ক্রেডিট হিস্টোরি ভালো হবে।
আশা করি ভূল ধারনা গুলো পরিষ্কার হয়েছে!