বিয়ে করার চিন্তা করছেন? আপনার হবু স্বামী বা স্ত্রীকে বিয়ের আগে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করতে একদমই ভুলে যাবেন না।
যতই প্যানডেমিক আসুক, ঝড়-বাদল আসুক না কেন, আমাদের দেশে বিয়ে কখনো থেমে থাকে না। আপনি যদি ওই দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন যারা শীঘ্রই বিয়ে করতে যাচ্ছে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই লেখা।
বিয়ের সিদ্ধান্ত যখন নিয়ে ফেলেছেন তখন আগেভাগে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনি এই সময় হত অত্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন আপনার বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। কিন্তু বিয়ের আগে আপনার হবু স্বামী স্ত্রীর সাথে আর্থিক ব্যাপারে কিছু আলোচনা করে নেয়া ভালো।
আপনি যদি নিশ্চিত না হলে কিকি ব্যাপারে কথা বলবেন, তাহলে আপনার জন্য আমরা কয়েকটি প্রশ্ন তৈরি করে রেখেছি যা আপনাকে আলোচনা শুরু করতে সাহায্য করবে। তবে প্রশ্নগুলো কেন করবেন সেগুলোর ব্যাখ্যা আমরা এই আর্টিকেলে বলে দিয়েছি। আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
বর্তমান আর্থিক অবস্থা কি?
আপনার হবু স্বামী-স্ত্রীর আগের এবং বর্তমান আর্থিক অবস্থা আপনাদের দাম্পত্য জীবনে আর্থিক ভবিষ্যতের সাথে সম্পর্কিত। যেমন আপনার হবু সঙ্গী যদি অনেক ঋণে ডুবে থাকে, তাহলে আপনার বিয়ের পরে ঋণ শোধ করার জন্য অনেক হিসেব করে খরচ করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনারা আপনাদের বিয়ের আগে ধারদেনার হিসেব মিটিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে অন্যজনকে আর চিন্তা করতে হবে না।
জয়েন্ট একাউন্ট রাখবেন কি রাখবেন না?
এই বিষয়টা যদি একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। কারণ প্রত্যেকেরই নিজস্ব আয় খরচ করার স্বাধীনতা রয়েছে। তারপরও দুই জনই যদি আয় করেন তাহলে কোন একটা জয়েন্ট একাউন্ট খুলে দুইজনের আয় থেকে কিছু পরিমাণ টাকা সেখানে জমা করতে পারেন যাতে প্রয়োজনে যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার হবু সঙ্গী যদি এই ব্যাপারে একমত না হয় তবে আলাদা একাউন্ট থাকাই ভালো।
একে অপরের পরিবারকে কতটা সাহায্য করবেন?
এই ব্যাপারটা যদিও স্পর্শকাতর, প্রভু আগে থেকে জেনে নেয়া ভালো। একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনাদের দুজনেরই নিজস্ব পরিবারের প্রতি দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে। বিশেষ করে আপনার বা আপনার হবু স্বামী বা স্ত্রীর বাবা-মা যদি অবসরে গিয়ে থাকেন। একে অপরের সাথে এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলে একে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আগে থেকে জেনে নেয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোনো সমস্যা না হয়।
অর্থনৈতিক লক্ষ্য গুলো কি কি?
আপনি যদি আয় করে থাকেন, তাহলে একজন ব্যক্তি হিসেবে আপনার কোনো না কোনো আর্থিক লক্ষ্য রয়েছে। সবথেকে ভালো হয় যদি হবু স্বামী-স্ত্রী দুজনের আর্থিক লক্ষ্য গুলো একই রকম বা কাছাকাছি হয়। অন্যদিকে ভিন্ন ভিন্ন আর্থিক নক্ষত্র ব্লগ তেমন কোন সমস্যা নেই। কিন্তু অবশ্যই আগে থেকে কথা বলে নিজেদের আর্থিক লক্ষ্য গুলো একে একে অপরের কাছে পরিষ্কার করে নিন।
খরচ না সঞ্চয়- আপনারা দুজন কি একই রকম চিন্তা করেন?
আপনি হয়তো বা চিন্তা করতে পারেন যে প্রথম জীবনে আপনি কষ্ট করে টাকা জমা দেন যাতে ভবিষ্যতে আপনার টাকা পয়সা নিয়ে কষ্ট করতে না হয়। অন্য আপনার খুব সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী চিন্তা করতে পারেন। সে হয়তো জীবনটা আনন্দ করে কাটাতে চায়, ভবিষ্যতে কি হবে না হবে তার তেমন কোন মাথা ব্যাথা নাও থাকতে পারে। প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত থাকা স্বাধীনতা রয়েছে, তাই নয় কি? তা ঠিক আছে, কিন্তু আপনারা দুজন যখন একসাথে দাম্পত্য জীবন কাটাতে যাচ্ছে তখন আপনাদের দুজনেরই সঞ্চয় এবং খরচের ব্যাপারে একই রকম বা কাছাকাছি মনোভাব থাকা উচিত।
সংসারের আর্থিক বিষয়গুলো কে দেখাশোনা করবে?
সংসার যেহেতু দুইজনেরই, তাহলে কি দুজনেই সমান ভাবে আর্থিক দায়িত্ব ভাগ করে নিবেন? নাকি একজনের উপরে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন? হয়তো দুই জনের একজন টাকা পয়সা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অন্যদিনের থেকে ভালো হতে পারে। এরকম হলে বড় বড় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো তার উপরে ছেড়ে দিতে পারেন। কারণ আপনি আপনার টাকা পয়সা নিয়ে ঝুঁকি নিতে পারেন না। তারপরেও বিয়ের পরে যেহেতু আপনারা একসাথে নিজেদের আয় ব্যয় ভাগ করে নিবেন, তাই নিজেদের মধ্যে বিয়ের আগে কিছুটা কথাবার্তা বলে নেয়া ভাল।
সবশেষে বলতে হয়, টাকা পয়সার ব্যাপারে আপনার হবু স্বামী বা স্ত্রীর সাথে আগে থেকেই মন খুলে আলোচনা করে নেয়া ভাল। আপনি হয়তো বা তার সাথে একমত নাও হতে পারে তবু তার মতামতকে জানা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনাদের মধ্যে বন্ধন আরো দৃঢ় হবে এবং ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ব্যাপারে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
Oh, btw, if you’re looking for that little extra financial help to go on that dream honeymoon or get that dream home before you get hitched, just click the link below.
হ্যালো বাংলায় কথা লিখতে চাই চাই