জরুরী প্রয়োজনে যখনই নগদ টাকার দরকার হয় তখন অনেকেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অগ্রিম টাকা তুলে ফেলেন। এখানে একটা মজার ব্যাপার হল আপনি যদি ঐ অগ্রিম টাকা যথা সময়ে পরিশোধ না করেন তাহলে ক্রেডিট কার্ড আপনাকে বাৎসরিক ৪৫% পর্যন্ত সুদ চার্জ করবে যতক্ষন না ঐটা পরিশোধ হচ্ছে। নিশ্চিতভাবেই বর্তমান সময়ে এটি একটি বিশাল সুদ যা আপনাকে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও যদি অন্য কোনো খরচের বকেয়া থেকে থাকে সেটারও জরিমানা সরূপ উচ্চহারে সুদ নেয়া হয়। আর এই কারণেই এ ধরনের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষতির ব্যাপারে বিভিন্ন মতভেদ আছে যেহেতু উভয় ক্ষেত্রেই এর সুদের হার বেশি। অন্যদিকে যদি ক্রেডিট কার্ড এর অগ্রিম ক্যাশ উত্তোলনের পক্ষে বলতে হয় তবে এর অবশ্যই কিছু ভালো দিকও আছে বিধায় এখনো এটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এর কিছু উপকারী দিকগুলো হল
ব্যক্তিগত লোনের পক্ষে বলতে গেলে বলতে হয়, যেহেতু জরুরী টাকার প্রয়োজনে যে কেউ কার্ডের বিপরীতে তৎক্ষণাৎ টাকা উত্তোলন করতে পারে তার মানে এই নয় যে সেই টাকা খুব শীগ্রই পরিশোধ করতে পারবে। যদি ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে কেউ যদি সময় মত টাকা পরিশোধ করতে না পারে তাহলে এর খুব চড়া মূল্য দিতে হয়। যা হোক ব্যক্তিগত ঋণের কিছু সুবিধাদি ও এখানে তুলে ধরা হলো।
সময়কালে এই জাতীয় সুবিধাটি লাভ করে যে কোনও একজন তত্ক্ষণাত পরে পরিশোধ করতে সক্ষম হবে তার সম্ভাবনা কম। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে যদি কেউ সময়মতো পরিশোধ করতে না পারে তবে ব্যয়গুলি প্রতিরোধমূলক। তবে ব্যক্তিগত loansণের ক্ষেত্রে:
উদাহরণস্বরূপ: ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট কার্ডে যদি ৫০,০০০/- টাকার বাকি থাকে যেটা কিনা তাকে পরিশোধ করতে হবে তবে কার্ডের বকেয়ার বিপরীতে তিনি সুদ প্রদান করবেন বাৎসরিক ৩৬%। আসুন আমরা ধরে নিই যে তিনি কেব। ৫,০০০ মাসিক হারে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। আর প্রতি মাসে ৫০০০/- টাকা করে শোধ করলে তার ১৩ মাস সময় লাগবে ঐ ঋণ পুরোপুরি পরিশোধ করতে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ১০,৩৬৮/- গুনতে হবে। কিন্তু তিনি যদি একটি পার্সোনাল লোন নেয়ার পরিকল্পনা করেন ১৮% সুদে তাহলে তার মাসিক কিস্তি আসবে ৪,৫৮৪/- টাকা। সুতরাং এইভাবে সে ১২ মাসে ঐ টাকা পরিশোধ করলে বছর শেষে তাকে মাত্র ৫০০৮/- অতিরিক্ত গুনতে হবে যা কি না ক্রেডিট কার্ডের সুদের প্রায় অর্ধেক। এখানে দেখা যাচ্ছে দুই ক্ষেত্রেই দুটো আর্থিক লেনদেনে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা অসুবিধা দুটোই আছে। এখানে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোনটি বেছে নিবেন।