একজন নারী হিসেবে আপনি কি কখনও চিন্তা করেছেন যে কিভাবে আপনার আর্থিক উন্নতি পরিমাপ করবেন? এই আর্টিকেলের আমরা আপনার সঙ্গে তুলে ধরব।
আধুনিক মহিলা পিতৃতন্ত্রের শেকল ভেঙে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে নতুনভাবে গড়ে তোলা অনুপ্রেরণার শক্তি। তার জীবনের একটি বিশাল অংশ আর্থিক স্বাধীনতার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু কীভাবে একজন নারী আর্থিকভাবে সাফল্য এবং প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করতে পারবে? … সম্ভবত নীচের পয়েন্টারগুলি আপনার উপকারে আসতে পারে।
নিচে আমরা প্রত্যেক দশকের জন্য আলাদাভাবে আর্থিক অবস্থার বর্ণনা করেছি যা থেকে অবস্থান নির্ণয় করতে পারবেন।
আপনার বয়স যখন বিশের কোটায়
জীবনের এই সময়ে, আপনাকে আপনার স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে সাম্য তৈরি করতে হবে। এ সময় হয়তোবা আপনি আপনার খন্ডকালীন লক্ষ্যের দিকে কিছুটা প্রাধান্য দিতে পারেন কারণ আপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা-যেমন অবসর গ্রহণ এর জন্য অনেক সময় থাকবে।
এসময় চেষ্টা করবেন অল্প করে হলেও বিনিয়োগের দিতে পা বাড়াতে। আপনার যদি বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক কম থাকে তারপর শুরু করাটাই আসল কথা। সময়আপনি মিচুয়াল ফান্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগে পন্থাগুলো সম্পর্কে জানতে শুরু করুন এবং অল্প করে বিনিয়োগ করুন।
আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরে থেকে থাকেন অনেকে সময় থাকে থেকেই আপনার ক্রেডিট হিস্ট্রি হিস্ট্রি তৈরি করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
আপনার বয়স যখন তিরিশের কোটায়
আপনার বয়স ত্রিশ হয়ে গেলে অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় আর হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। জীবনের এই সময় আপনি মোটামুটি ভালো ওকে ঢাকায় করতে থাকবেন। আপনি সম্ভবত এ সব থেকে ভালো চাকরি করবেন যা আপনাকে ভালো পরিমাণে টাকা দেয়, তাই এই সময়ে আপনার বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
ত্রিশের দশকে সাধারণ মানুষ বড় কেনাকাটা করে। যেমন গাড়ি কেনা, বা বাড়ি কেনা। এ সময় আপনি বাড়ি গাড়ির কিনার জন্য হয়তো ঋণ নেবেন। চেষ্টা করবেন ঋণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেয়া প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে। এই দশকে অনেকে বিয়ে করে এবং নতুন পরিবার শুরু করে। তাই এই সময়ে আপনার আর্থিক লক্ষ্য আপনার অবস্থা অনুযায়ী কিছুটা পরিবর্তন করে নিতে হবে। কিন্তু যাই হোক, কখনোই আপনার নিজস্ব আর্থিক সত্ত্বাকে কারও জন্যে বলি দিবেন না।
আপনার বয়স যখন চল্লিশের কোটায়
আপনার বয়স ৪০ হয়ে গেলে, আপনি হয়তো কাজের বাইরেও আপনার জীবনকে চিন্তা করতে থাকবেন। এ সময় অনেকে ভ্রমণের চিন্তা করে এবং সাথে সাথে অবসরের জন্য সঞ্চয়ের কথা ভাবে। চল্লিশের দশকে আপনার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে আপনার পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধ করার জন্য। কারণ এ সময় আপনার আয় বেড়ে যাবে এবং আপনি বেশি পরিমাণে টাকা শোধ করতে পারবেন। এছাড়াও অনেকেই পূর্ণ চাকরির মেয়াদ পর্যন্ত কাজ করতে চান না, তাই সময়ের আগে অবসরে চিন্তা করেন।
এই বয়সে আপনার বিনিয়োগের পূর্ববর্তী সকল জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন করে বিনিয়োগের চিন্তা করা উচিত। এছাড়া ভ্রমণ, অন্যান্য শিল্পসাহিত্য উপভোগ করা আপনার জীবনকে রঙিন করে তুলবে, তাই এগুলোর জন্য টাকা খরচ করা কোনোভাবেই অপচয় নয়।
আপনার বয়স যখন পঞ্চাশের কোটায়
আপনি পঞ্চাশের দশকে চলে এলে কখন সময় হবে আস্তে আস্তে কাজকে বিদায় দিয়ে অবসরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। এ সময় যদি আপনার বিনিয়োগের ক্ষুধা থাকে, তাহলে কম ঝুঁকির বিনিয়োগ পড়ার ব্যাপারে চিন্তা করতে পারেন। এসময় আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ড, এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দিকে খেয়াল রাখুন যেহেতু আপনি কিছুদিন পরে অবসর জীবনে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন।
আপনার বয়স যখন ষাটের কোটায়
আপনি যদি উপরের সবগুলো ইতোমধ্যে পালন করে থাকেন, তাহলে আপনার ষাটের দশক আরামদায়ক হবে। কে আপনি সারা জীবন যে বিনিয়োগ করে দিয়েছেন তার ফল ভোগ করবেন, এবং সুখে শান্তিতে দিন যাপন করার চিন্তা করবেন। আপনার প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আপনার নিজের জন্য অথবা প্রিয়জনের জন্য বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন।