সম্ভবত পার্সোনাল লোন এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি আপনি খুঁজছেন তা হল “আমি কতখানি সুদ দিব?”
ব্যক্তিগত ঋণের সুদ কীভাবে গণনা করতে হয় তা এখানে বিষদ বর্ননা করা হল।
মাসিক আয়
আপনার বেতন এবং সুদের হারের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যদি প্রতি মাসে ৩৫,০০০ টাকারও কম উপার্জন করেন তবে বছরে আপনার সুদের হার হবে ১২-১৪% এর মধ্যে হবে। আর যদি উপার্জন ৭৫,০০০ টাকা বা এর বেশি হয় তবে আপনাকে বার্ষিক ১০% থেকে ১২% সুদের হারে লোন পেতে পারেন বা লোনের জন্য যোগ্য হবেন। সহজ কথায় – উচ্চ আয়, কম হার।
নিয়োগকর্তা
ধরুন আপনার বেতন বেশি কিন্তু আপনি একটি ছোট কোম্পানিতে কাজ করেন সেক্ষেত্রেও আপনাকে লোনের বিপরীতে উচ্চ হারে সুদ প্রদান করতে হবে। আপনি যদি এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন যা ব্যাংক কর্তৃক অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত হয় তবে আপনি আরও ভাল ইন্টারেস্টে ঋণ পেতে পারেন। ঋণ পরিশোধের সময় চাকুরীর স্থায়িত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়।
ঋনের ইতিহাস
আপনি যদি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে নিয়মিত থাকেন তবে আপনার ক্রেডিট স্কোর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা নির্ধারণ করতে ব্যাংকগুলি এই তথ্য ব্যবহার করে। এটি আপনাকে দেওয়া সুদের হারকেও অনেক সময় প্রভাবিত করে।
আলাপ – আলোচনা
ব্যাংকের সাথে আপনার সম্পর্ক এবং আলোচনার বা দর কশাকশির মাধ্যমেও আপনার সুদের হারকেও অনেকাংশে প্রভাবিত করতে পারেন। আপনার ক্রেডিট বা সিআইবি রিপোর্টটি ব্যবহারের উপযোগী রাখুন, এটি সবসময় ভালো অবস্থায় রাখুন অর্থাৎ কোন লোন বা ইএমআই যেন ডিফল্ট না হয়!
আশা করা যায় উপরের তথ্যগুলো আপনাকে অনেক সাহায্য করবে পার্সোনাল ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে।