নারীর ক্ষমতায়ন দিন দিন বাড়ছে। এই আর্টিকেলে আমরা বলবো যে, আর্থিকভাবে স্বতন্ত্র নারীরা কিভাবে পুরনো প্রবাদ দূর করে নিজের অর্থ-সম্পদের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
আমাদের দেশে অনেক নারীরাই অর্থ ব্যবস্থাপনায় নিজেদেরকে দূর করে রাখে। ভয় তারা এ বিষয়টি অনেক জটিল মনে করেন, অথবা তারা অন্যের উপরে নির্ভর করেন। তবে এখনকার দিনে আস্তে আস্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক নারীরাই অল্প বয়স থেকেই নিজেরাই টাকা উপার্জন করছেন এবং স্মার্ট বিনিয়োগ শুরু করেছেন।
তারা এখন ক্রেডিট কার্ড, ঋণ পরিশোধ, গৃহস্থলী বাজেটে নিজেদের আবদ্ধ না রেখে, সারা বিশ্বজুড়ে আর্থিক ব্যবস্থায় নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করতে শুরু করেছেন ।
আপনি যদি সেই স্বাধীন নারী হন ও পরাধীনতার বাঁধন ভেঙে আর্থিক বিষয়গুলি নিজের হাতে নিতে চান, তাহলে আমরা কয়েকটি সহজ উপায়ে আপনার জন্য তুলে ধরছি:
আগের টাকা যোগান তারপরে খরচ করুন
আর্থিক বিষয়ের উপরদেশ গুলোর মধ্যে সম্পদ বৃদ্ধি করার জন্যে এটি অন্যতম একটি স্তম্ভ। শুরুতে মাসের একটি বাজেট তৈরি করুন এবং বাজেট অনুযায়ী খরচ করুন। আপনার যত ধরনের আয়ের এর উৎস আছে তা থেকে সম্ভাব্য আয় হিসাব করুন, তারপরে সম্ভাব্য খরচ হিসাব করে নিন। এরপরে কত টাকা আপনার জমা হতে পারে, সেই টাকা শুরুতেই সরিয়ে রাখুন।
আপনি চাইলে ৫০:৩০:২০, বাজেটের এইনিয়মটি মেনে নিতে পারেন। এখানে প্রথম ৫০ ভাগ টাকা আপনার নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারবে। পরবর্তী ৩০ ভাগ আপনার অন্যান্য খরচ মেটাবে, এবং অবশিষ্ট ২০ ভাগ আপনি জমা করবেন।
টাকা-পয়সা ফেলে রাখবেন না
টাকা পয়সা জমানোর তো অবশ্যই ভালো, সাথে সাথে মাথায় রাখতে হবে কিভাবে টাকা বাড়ানো যায়। তবে বিনিয়োগ করার আগে আপনার ছোট-বড় অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করে ফেলা উচিত। তারপর সে লক্ষ্য পূরণ করতে আপনার কত টাকা দরকার তা হিসাব করে বিনিয়োগ করা দরকার।
আপনার অর্থনৈতিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকি ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ অপশন যেমন ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড যাচাই করে বিনিয়োগ করবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন যে আপনার সমস্ত টাকা এক জায়গায় বিনিয়োগ করবেন না।
প্রয়োজনীয় বীমা করুন
আপনার পরিবার যদি আপনার উপরে অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল হয়, তাহলে আপনার জীবন বীমা করা উচিত। কারণ আপনি জানেন না যে কখন কোন বিপদের মধ্যে আপনি করতে যাচ্ছেন। আপনার বীমা করা থাকলে আপনার পরিবার অন্তত বিপদের সময় কিছুটা হলেও আর্থিক সাহায্য পাবে।
অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন
আপনার প্রয়োজন হলে কখনোই অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে দ্বিধা বোধ করবেন না। একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী আপনার আয় ব্যয়, এবং আর্থিক লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে আপনাকে কি ধরনের বিনিয়োগ করা দরকার সেই বিষয়ে পরিষ্কার একটি ধারণা দিতে পারবেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শের উপর ভিত্তি করে আপনি বিনিয়োগ করলে আপনি দ্রুত আর্থিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
জরুরী তহবিল গঠন করুন
আমাদের প্রত্যেকেরই একটি জরুরী তহবিল থাকা দরকার। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারি। প্রত্যেকেরই কমপক্ষে 6 মাসের টাকা জরুরী তহবিলে জমা থাকা উচিত। এ জরুরী তহবিল আমাদের কোন হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা, আয় কমে গেলে আর্থিক প্রয়োজনে সাহায্য করবে।