টাকা পয়সার ব্যাপারে আমরা নিজেদের যখন ধোঁকা দেই
টাকা পয়সার বিষয়টি যখন আসে, আমাদের বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ নিজেকে বোকা বানিয়ে নিজের ক্ষতি করে। এখানে কিছু টাকা পয়সা বিষয়ে কয়েকটি তুলে ধরব যা আমরা নিজেরা নিজেদের প্রায়ই বলে থাকি বলি এবং এগুলি থেকে কিভাবে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
আবার ও বলছি – টাকা পয়সার বিষয়টি যখন আসে, আমাদের বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ নিজেকে বোকা বানিয়ে নিজের ক্ষতি করে। যেমনঃ আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা তেমন কোনও টাকা সঞ্চয় করেন না এবং তারা নিজেদের এই যে মিথ্যা কথা বলেন যে আমাদের কাছে আলাদা করে জমানোর মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা নেই। আমাদের মধ্যে এমনও অনেকে আছেন যারা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে চিন্তা করেন না কারণ আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে বলেন যে ক্রেডিট কার্ডের অল্প কিছু ঋণ আমাদের ক্ষতি করবে না। সবই মিথ্যা!
কিন্তু, এই সমস্ত মিথ্যাগুলি কি আপনাকে আর্থিক ভাবে আপনাকে কোনও সাহায্য করে? চিন্তা করে দেখুন! তারা আপনাকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। এই মিথ্যাগুলি যা আপনি প্রায়শই নিজেকে বলে থাকেন তা আপনাকে ক্ষণস্থায়ী স্বস্তি দিতে পারে তবে আপনি যদি একটু খেয়াল করে দেখেন, এগুলো ভবিষ্যতে আপনাকে আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।
আপনি আশাকরি এতক্ষনে সত্যিটা বুঝতে পেরেছেন। এবং আপনাকে সাহায্য করার জন্য আমরা কিছু সাধারণ টাকা পয়সা বিষয়ক মিথ্যা চিহ্নিত করেছি যা আমরা নিজেরা নিজেদের বলে থাকি। এবং এগুলিও কাটিয়ে উঠার সমাধান ও আপনাদের জানিয়ে দিব।
মিথ্যা: আমার অবসর অনেক দেরি, তাই আমার নিজের জন্য টাকা জমানোর অনেক সময় বাকি আছে।
আপনি যদি এখন যুবক থাকেন বা আপনি বিশ্বাস করেন যে আপনি সারা জীবন কাজ করে যাবেন (কারণ আপনি আপনার কাজ পছন্দ করেন), এই বিষয়টি মনে রাখা দরকার যে আপনার বয়স বাড়বে এবং অবশেষে কোনও একদিন কাজ থেকে অবসর নিতে হবে। এবং যদি আপনি অবসর গ্রহণের পরের বছরগুলির জন্যে টাকা পয়সা আগে থেকে না জমান তবে আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য আপনাকে অন্যের উপর নির্ভর করতে হবে। আপনি এটি চান, নাকি চান না?
তাহলে কি করবেন? প্রথমেই এই চিন্তা মাথা থেকে ফেলে দিন যে আপনি সারা জীবন কাজ করবেন। এখন আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকতে পারে, কিন্তু কয়েক বছর পরে বয়স বাড়লে এটি নাও থাকতে পারে। আল্লাহ না করুক, আপনি যদি এমন কোনও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন যা আপনাকে শারীরিকভাবে পঙ্গু করে দেয় বা আপনি কোনও গুরুতর অসুস্থতার শিকার হন? আপনি কেবল টাকা উপার্জন করার ক্ষমতাই হারাবেন না, আপনার চিকিৎসার ব্যয়ও অনেক হবে। আপনি তখন কি করবেন? চিন্তা করে দেখেন।
এই সমস্যার সমাধান বেশ সহজ। আপনাকে প্রতি মাসে অল্প পরিমাণে অর্থ সঞ্চয় করতে হবে (কেবল সঞ্চয় নয়, সম্ভব হলে বিনিয়োগও করতে হবে)। আপনি আপনার বাকি জীবন (যখন উপার্জন করবেন না) আপনার বর্তমান জীবনযাত্রার মত চলতে চাইলে এখন থেকে সঞ্চয় করার বিকল্প নেই।
মিথ্যা: সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে আমার টাকা রাখা ভাল।
যখন আমরা সঞ্চয় সম্পর্কে কথা বলি, তখন একটি ব্যাংক সেভিংস অ্যাকাউন্ট এর কথা প্রথমে আমাদের মাথায় আসে। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ জমা রাখার জন্য এগুলি সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। আমরা সেভিংস অ্যাকাউন্ট এর বিপক্ষে নই, তবে সেভিংস অ্যাকাউন্ট আপনার টাকা বাড়তে দেয় না।
অবশ্যই, তারা সেভিংস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা সুবিধা এবং অন্যান্য বিকল্পের তুলনায় ঝুঁকি কম, তবে এখানে সুদের হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এছাড়াও, আপনি কি জানতেন যে মূল্যস্ফীতির কারণে সময়ের সাথে সাথে টাকার মান কমতে থাকে?
তাহলে কি করবেন? এখন, আপনি জানেন যে আপনার সমস্ত অর্থ সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে রেখে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না। আপনার অন্যান্য সুযোগগুলিতে বিনিয়োগ করা ভাল, যা আপনার অর্থের মূল্য বাড়িয়ে তুলবে। না, আমরা আপনাকে আপনার সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করতে বলছি না। আপনি আপনার সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে কিছু পরিমাণ টাকা রাখতে পারেন। বাকি টাকা Fixed Deposit, Equity Funds or Debt Funds তহবিলের মতো বিকল্প উপায়ে জমা করতে পারেন।
মিথ্যা: বিনিয়োগ থেকে আমার দূরে থাকা উচিত। এগুলি জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
আপনি বিনিয়োগ করা কে খুব কঠিন মনে করেন। আমাদের বেশিরভাগই বাস্তবে তাই ধারনা করে থাকেন। কিন্তু, আসলে কি তাই? এটি আংশিক সত্যি, এটি নির্ভর করে যে আপনি বিনিয়োগ সম্পর্কে কতটা জানেন তার উপর। এছাড়াও পরিচিত অনেকের বিনিয়োগ ব্যর্থতা এবং ভুয়া বিনিয়োগের গল্প শুনে মানুষ আরও বেশি ভয় পায় কারণ তারা তাদের কষ্ট উপার্জিত অর্থ হারাতে চায় না।
তাহলে কি করবেন? প্রথমত, আপনাকে বিনিয়োগের ভয় দূর করতে হবে। কিন্তু কীভাবে? এ সম্পর্কে জানুন। আপনি এটি সম্পর্কে অনলাইনে পড়তে পারেন, সফল বিনিয়োগকারীদের গল্পগুলি যাচাই করতে পারেন (যেমনঃ ওয়ারেন বাফেট), আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে এ সম্পর্কে কথা বলতে পারেন, বা কোনও আর্থিক পরামর্শদাতার সাহায্য নিতে পারেন।
একবার আপনার ভয় দূর হয়ে গেলে, আপনাকে অবশ্যই আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলি নির্ধারণ করতে হবে এবং আপনার বিনিয়োগের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে হবে। একবার আপনি এটি করার পরে, আপনি আপনার পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন। যদি আপনি বিনিয়োগ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী না হন তবে একজন আর্থিক উপদেষ্টার কাছ থেকে সহায়তা নেওয়া আপনার সবথেকে ভাল হবে। একজন ভাল আর্থিক উপদেষ্টা আপনার আর্থিক লক্ষ্যগুলির উপর ভিত্তি করে আপনাকে সঠিক পোর্টফোলিও তৈরি করতে সহায়তা করবে।
মিথ্যা: আমার সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বের করে নেওয়া ঠিক আছে। আমি যে কোনও সময় এটি পূরণ করে দিতে পারি।
আমরা বেশিরভাগই এই কাজটি করেছি, বিশেষ করে মাসের শেষের দিকে যখন আমাদের বেতনের অ্যাকাউন্টটি প্রায় খালি থাকে। আমাদের হাতে যখন টাকা থাকেনা, আমরা তখন সহজেই জমানো টাকায় হাত দেই এই চিন্তা করে যে পরবর্তীতে আবার সেভিংস একাউন্টে টাকা রেখে দিব। কিন্তু, আমরা আসলেই কতবার এই টাকা আবার সেভিংস একাউন্টে জমা দিয়েছি? প্রায় সময়ই দেয় নি, তাই না? আপনি আপনার সেভিংস/সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট থেকে যে সমস্ত টাকা ধার করেছেন তা বাস্তবে পুনরায় পূরণ করা সত্যিই খুব কঠিন।
তাহলে উপায় কি? আগে থেকেই আপনার মাসিক ব্যয় এর পরিকল্পনা করুন। আপনি (আসলে ‘উচিত’) নিজের জন্য একটি মাসিক বাজেট তৈরি করুন এবং এর বাইরে খরচ থেকে বিরত থাকুন। সঠিক ভাবে বাজেট করলে আপনার আপনার কখনই মাসের শেষে টাকায় টান পড়বে না এবং আপনার সঞ্চয় একাউন্টে হাত দিতে হবে না। আপনি যদি এমন বাজেটের অংশ না এমন সামগ্রী কেনার পরিকল্পনা করেন তবে আপনার আগে থেকেই পরিকল্পনা করা দরকার। আপনি এই জন্যে আগে থেকেই কিছু টাকা সরিয়ে রাখতে পারেন যাতে আপনার ক্রেডিট কার্ডের উপর নির্ভর করতে না হয় । এই বাজেট পরিকল্পনা আপনাকে ঋণ থেকে বাঁচাবে এবং আপনার সঞ্চয় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
মিথ্যা: সম্পদ বানানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়, কেবল ধনীরাই পারে।
সত্যি? প্লিজ একথা বলবেন না যে আপনি এমন কখনও চিন্তা করেন নি। ওয়ারেন বাফেট বা একই কথা ভাবলে কী হত? আমরা জানি যে সম্পদ বাড়ানো একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া, তবে ধনী হওয়ার জন্য খালি চিন্তা না করে বরং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার জন্য একই সাথে আপনার টাকা জমানো এবং সম্পদ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে কাজটা সহজতর হবে।
ছোট শুরু করুন। প্রতিনিয়ত অল্প পরিমাণে অর্থ জমা করতে থাকলে এক সময় আপনাকে চক্রবৃদ্ধি হারে বেশি পরিমাণে মুনাফা সঞ্চয় করতে সহায়তা করবে। তবে, আপনি যদি সত্যই বেশি করে সম্পদ বাড়াতে চান, তবে আপনাকে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে, বিশেষত ইক্যুইটিগুলিতে (ব্যবসায়িক শেয়ার বিনিয়োগে)।
মিথ্যা: আমি আমার ক্রেডিট স্কোর নিয়ে চিন্তা করি না।
বাংলাদেশে থাকা বন্ধুরা এই চিন্তা করলে কোনও সমস্যা নেই! যারা দেশের বাইরে থাকেন তাদের ক্রেডিট স্কোর যেকোনও আর্থিক প্রয়োজনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বিদেশে থেকে যদি এরকম চিন্তা করে থাকেন, তবে আপনার চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করার এখনই সময়। একটি ভাল ক্রেডিট স্কোর থাকলে আপনি ব্যাঙ্ক এর পছন্দের ব্যক্তি হবেন। আপনার খারাপ স্কোর থাকলে ঋণ পাওয়া আপনার জন্যে কঠিন হবে।
কি করার আছে? খারাপ ক্রেডিট স্কোরের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডগুলিই সবচেয়ে বড় অপরাধী। আসলে, কার্ড নয়, আপনি যেভাবে তাদের ব্যবহার করছেন তা সরাসরি আপনার স্কোরকে প্রভাবিত করে। এটি যখন আপনার ক্রেডিট স্কোরের কথা আসে তখন একটি ক্রেডিট কার্ড দুই ধারী তরোয়ালটির মতো কাজ করে। এটি হয় আপনার স্কোর বাড়িয়ে তুলবে বা এটি মাটিতে শুইয়ে দিতে পারে। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে যে আপনি সময়মতো আপনার সমস্ত বিল পরিশোধ করুন, আপনার সমস্ত ঋণ বুদ্ধিমানের মত পরিচালনা করুন এবং আপনার ক্রেডিট কার্ডের সীমা ৩০% এর বেশি ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি এটি ঠিকভাবে ব্যবহার করেন তবে আপনার ক্রেডিট স্কোর সম্পর্কে আর চিন্তা করতে হবে না।
মিথ্যা: আমি যদি আমার পাওনাদারদের উপেক্ষা করি তবে তারা আমাকে এক সময় ভুলে যাবে।
হা-হা! যদিও আমাদের সমাজে একটা কথা আছে কারও সাথে সম্পর্ক না রাখতে চাইলে টাকা কিছু টাকা ধার দিন। কিন্তু তারমানে কখনোই মনে করবেন না যে – আপনাকে যে টাকা ধার দিয়েছে সে আপনাকে ভুলে গেছে। পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে ‘চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল হয়’ কথা টা ঠিক না। তারা আপনাকে ছেড়ে দিবে না যতক্ষণ আপনি তাদের টাকা ফেরত না দিবেন।
তাহলে কি করবেন? আপনি যদি যথাসময়ে আপনার পাওনা পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে আপনি আপনার পাওনাদারদের সাথে এ বিষয়ে আগে থেকেই কথা বলতে পারেন। তারা আপনার অবস্থার উপর নির্ভর করে তাদের অর্থ পরিকল্পনা তৈরি করে নিতে পারবেন বা আপনার কিছু ঋণ হয়ত কমিয়েও দিতে পারে বা সুদের উপর টাকা নিলে সুদের হার ও কমাতে পারে। ধার/ঋণ নিয়ে থাকলে তা থেকে পালানোর উপায় নেই। আপনার কেবল একটু সক্রিয় হতে হবে এবং কিছু আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটা মদ্ধস্ততায় আসতে হবে।
মিথ্যা: আমি ইতিমধ্যে ঋণে আছি সুতরাং, আমি যদি আমার ক্রেডিট কার্ডটি আবার সোয়াইপ করি তবে এটি তেমন কোনও বড় ব্যাপার না
আপনি যদি ইতিমধ্যে ঋণের মধ্যে থাকেন তাহলে আপনি কেন আপনার ঋণ করতে চান? আপনি আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল থাকলে তো এর মধ্যেই আপনার পাওনা পরিশোধ করতেন। ছোট ছোট জিনিস কিনার জন্য আপনার ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করা সহজ মনে হতে পারে, আপনার আগে থেকেই কার্ডে ঋণ থাকলে মাসিক বিল প্রদান করা এতটা সহজ হবে না। তাহলে সুযোগ পেলেই ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করা বন্ধ করুন।
কি করবেন? প্রথমেই বলব যে, একটি মাসিক বাজেট তৈরি করুন এবং এটি মেনে চলুন। এটি আপনার আয়ের উপর নির্ভর করে আপনাকে ব্যয় করতে সহায়তা করবে। তখন আপনি টাকা ক্যাশ বা ক্রেডিট কার্ডে দিলেও আপনার খরচের সীমা অতিক্রম করবেন না। এছাড়াও, আপনার বাজেটের পরিকল্পনা করার সময়, দয়া করে আপনার আগে ঋণ থেকে থাকলে তা অন্তর্ভুক্ত করুন। যদি আপনার একাধিক ঋণ থাকে – যেমন ক্রেডিট কার্ডের অর্থ প্রদান, ব্যক্তিগত ঋণ, বাড়ির ঋণ, গাড়ির ঋণ ইত্যাদি – তবে আপনি প্রথমে সবথেকে বেশি-সুদের টি সবার আগে পরিশোধ করবেন বা প্রথমে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ঋণ পুরোটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
মিথ্যা: এগুলি কেনার মতো আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই, তবে আমি মনে করি যে আমি এখনও এটি কিনতে পারি।
হ্যাঁ, এটি একটি সাধারণ মিথ্যা শপাহোলিকরা নিজেদের কে বলে। যদিও তারা জানে যে তারা কিছু ব্যয় করার মতো তাদের আর্থিক সামর্থ নেই তবুও তারা কেনাকাটা করে। এতে অবাক হবার কিছু নেই যে তারা নিজের জীবনের বেশিরভাগ নিজেকে ঋণ গ্রস্থ হিসেবে আবিষ্কার করে!
আপনি শপাহোলিক? কিছু কিনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন যে এই জিনিস টি আপনার প্রয়োজন কি না? আপনার প্রয়োজন না তারপরও কিছু জিনিস কিনার ইচ্ছা হলে কমপক্ষে ১দিন বা পারলে ৭দিন অপেক্ষা করে দেখেন যে তারপরও আপনার এখনও ওই জিনিস টা কেনার ইচ্ছা আছে কি না।
তবে মনে রাখবেন যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্রয় আপনার সঞ্চয়কে ক্ষতি করবে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারলে দিন দিন ক্রেডিট কার্ড বিল বাড়তে থাকবে।
শুধুমাত্র বেতনের টাকায় মাস চলতে থাকলে আপনার আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হওয়া কঠিন হবে। তার উপর আপনি যদি উপরে উল্লিখিত কোনও মিথ্যা নিজেকে বলে থাকেন তবে আপনি দিন দিন আর্থিক দুর্গতির দিকে আগাবেন। আপনি আপনার আর্থিক সমস্যাগুলি সময় থাকতে চিহ্নিত করুন এবং তা সমাধান করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠুন।
আপনার জন্যে শুভকামনা রইল!