স্বনিযুক্ত কর্মজীবীদের ব্যক্তিগত ঋন প্রাপ্তির যোগ্যতা । Personal Loan Eligibility For Self-Employed People

আপনিই আপনার বস শুনতে দুর্দান্ত লাগে, কিন্তু স্ব-কর্মসংস্থানশীল হওয়ার ও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় বা বৈশ্বিক দূর্যোগে স্ব-কর্মসংস্থানশীলদের ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে হয়। একজন স্ব-কর্মসংস্থানশীল ব্যক্তির জরুরি অর্থের প্রয়োজনে ব্যক্তিগত ঋন তাকে উদ্ধার করতে পারে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই দেখেছেন! স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যক্তিগত ঋণের অনুমোদন ততটা কঠিন নয় যতটা লোকেরা ধারনা করে।

নিচের গাইড থেকে ধারনা নিন…

ব্যক্তিগত ঋণ কি?

ব্যক্তিগত ঋন একটি ঋণদাতার কাছ থেকে ধার করা অনিরাপদ একটি লোন। যেখানে পুর্ব থেকে নির্ধারিত মাসিক হারে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ যথাসময়ে ঋণদাতাকে পরিশোধ করতে হবে। তবে ব্যক্তিগত ঋন অন্য যে কোনও ঋনের তুলনায় আরও বেশি নমনীয় এবং আকর্ষণীয়। 

কোন কোন উপাদান ব্যক্তিগত ঋণকে সহজ করে তোলে?

ব্যক্তিগত ঋণ সে নমনীয় বলার কারণ হচ্ছে এই যে এই ঋণ অনুমোদনের পর আপনার যেকোনো কাজের লাগাতে পারেন। নমনীয়তার ক্ষেত্রে এই ঋণ, গাড়ি বা বাড়ির  ঋণের তুলনায় অনেক এগিয়ে। যেখানে কার লোন এবং হোম লোন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, অন্যদিকে ব্যক্তিগত ঋণ আপনার প্রয়োজনীয় যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার তারল্য সঙ্কটে, পারিবারিক প্রয়োজনে, বিবাহের মত অনুষ্ঠানের ব্যয় মেটাতে, ধারদেনা মেটাতে, অথবা যে কোনো আর্থিক সমস্যার সমাধান হিসেবে যেকোনো সময় এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন।  

ব্যক্তিগত ঋন সাধারণত জামানতবিহীন, যার অর্থ এই ঋণ অনুমোদন এবং বিতরণ করার জন্য আপনাকে কোন প্রকার জামানত দিতে হবে না। 

স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তিরা কি ব্যক্তিগত ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন?

হ্যাঁ, স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তিরাও ব্যক্তিগত ঋণের জন্য যোগ্।।

স্ব-কর্মশীল/স্ব-কর্মসংস্থান ব্যক্তিদের জন্য ব্যক্তিগত ঋন আবেদনের যোগ্যতার মানদণ্ড

ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ঋণের জন্য আবেদনকারী স্ব-কর্মসংস্থানশীল ব্যক্তিকে অনেক ধরনের কাগজপত্র এবং কিছুটা ঝামেলা পূর্ন প্রক্রিয়াটি মাধ্যমে যেতে হয়। যদি আপনি একটি স্ব-কর্মসংস্থান ব্যক্তি হিসেবে ব্যক্তিগত ঋনের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করেন তবে আপনার ঋন অনুমোদিত হওয়ার জন্য আপনার যা জানা দরকার তা এখানে দেয়া হলঃ

• নাগরিকত্বঃ কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারা আপনার ব্যক্তিগত অনুমোদিত হওয়ার আগে আপনার প্রথম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। শুধুমাত্র বাংলাদেশী নাগরিকরাই এধরনের লোনের জন্য দেশের যে কোন ব্যাংকের আবেদন করতে পারবেন। 
• নূন্যতম বয়সঃ ২৩ বছরের উপরে বয়সের যে কোনও স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তি ব্যক্তিগত ঋনের জন্য যোগ্য।
• সর্বোচ্চ বয়সঃ একজন স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋনের জন্য উপযুক্ত।
• অভিজ্ঞতাঃ যেহেতু স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তিরা বেতনভোগী লোকদের মতো নন যাঁদের নিয়মিত এবং নিয়মিত আয়ের উৎস রয়েছে। একটি স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তির আয় ব্যবসার উপর নির্ভর করে ওঠানামা করতে পারে। সুতরাং, যোগ্য হওয়ার জন্য, একটি স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তির কমপক্ষে ৩ বছর বা তার বেশি সময় ধরে তার বর্তমান ব্যবসায় থাকতে হবে এবং নিয়মিত আয়কর প্রদান করতে হবে।
• অফিসঃ যদি কোনও স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তি ব্যক্তিগত ঋন পেতে চান, তবে ব্যক্তির নিজের নামে বা মালিকানাধীন ব্যবসায়ের নামে নিবন্ধিত একটি অফিস থাকতে হবে। আপনার যদি নিবন্ধিত অফিস না থাকে তবে আপনার বাড়ির নিবন্ধীকরনের কাগজগুলোও যথেষ্ট। .
• ব্যাংক একাউন্টঃ ব্যক্তিগত ঋণের যোগ্য হওয়ার জন্য আপনাকে কমপক্ষে এক বছরের জন্য কোনো ব্যাংকের গ্রাহক হতে হবে। কিছু ব্যাংক আছে যারা আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য গ্রাহক হিসেবে আপনার উপস্থিতি কাম্য করে।

সুদের হার:

ব্যক্তিগত ঋণে সুদের হার এক ঋণদাতা থেকে অন্য ঋণদাতার মধ্যে পার্থক্য থাকে,  কিন্তু বর্তমান বাজারে ব্যক্তিগত ঋণের ইন্টারেস্ট রেট ৮ থেকে ১২ শতাংশ এর মধ্যে।  আপনি এমনকি আলোচনা করেও নিতে পারেন কিন্তু ঋণ অনুমোদন অবশ্যই আপনার বিগত লেনদেনের উপর কি করে হবে।

যদিও স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়ার জন্য নিয়মিত আয়ের প্রবাহ প্রদর্শন করা কঠিন,  তবে এর অর্থ এই নয় যে তারা একদমই ঋণ পাবেন না। আপনার বিগত লেনদেনের  ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে  ঋণ আবেদন গুলি গৃহীত হয়। সুতরাং, আপনি ঋন পরিশোধে নিয়মিত থাকলে, ব্যক্তিগত ঋন আবেদনের অনুমোদন পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়ইছ