আরো বেশি বেশি ব্যক্তিগত ঋন প্রদান করে দেশে আর্থিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে ফাইনান্সারদের (ঋনদাতা) মধ্যে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা গ্রাহকদের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ফলে তারা এখন ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি দ্বারা প্রদত্ত অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকে। তারা বিভিন্ন উপলক্ষ মেনে বেশ কিছু চমৎকার স্কিম অফার করে যা ব্যক্তিগত ঋনগ্রহণের অভিজ্ঞতাকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে। একটি সাধারণ ব্যক্তিগত ঋণকে আরও চমৎকপ্রদ দেখানোর জন্য দারুণ সব উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্য এর সাথে যুক্ত করে যাতে গ্রাহকের কাছে অত সহজে পৌঁছানো যায়। এখন বাজারে সকল শ্রেণীর অর্থায়নকারীদের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান।
ব্যক্তিগত ঋণে দিয়ে দেওয়া আরও কিছু বেনিফিট
প্রসেসিং ফিঃ অনেক ব্যাংক তাদের ব্যক্তিগত ঋণে অধিক গ্রাহক আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রক্রিয়াকরণ ফি স্কিম নিয়ে আসে। অনেক সময় ঋণের পরিমাণ অনুমোদনের পর প্রসেসিং ফি ফেরত দিয়ে থাকে আবার অনেক সময় ০% প্রসেসিং ফি তেও লোন অফার করে।
আগাম পরিশোধ জরিমানাঃ প্রসেসিং ফি মওকুফের অনুরূপ কিছু ঋণদাতা আছেন যারা ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ব্যক্তিগত ঋণের প্রিপেইমেন্ট জরিমানায় ছাড় দেয়।
ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বীমা: বর্তমানে অনেক ব্যাংক তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ঋন গ্রহণকারী গ্রাহকের জন্য ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বীমা কেনার প্রস্তাব দিয়ে থাকে। এটি সেই গ্রাহকের জন্য একটি ভাল পদক্ষেপ যা সুবিধা পায় এবং সেই ব্যাঙ্ক যার ঋনগ্রহীতার দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর বিপরীতে সুরক্ষা দেয়।
ব্যালেন্স ট্রান্সফার সুবিধাঃ মোট বিতরণকৃত ঋণের অনাদায়ী পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলি গ্রাহকদের তাদের বকেয়া ঋণের ভারসাম্য রক্ষায় অন্য উৎস থেকে একক ব্যক্তি লোন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার অনুমতি দেয়। এটি গ্রাহকের জন্য ট্র্যাকিং এবং অর্থ প্রদানকে আরও সুবিধাজনক করে তুলেছে।
জিরো ব্যালেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্টঃ ব্যক্তিগত ঋন আবেদনকারীদের যেসব ব্যাংক থেকে তারা ঋন নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন সেখানে জিরো ব্যালেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট দেওয়া হয়।
ক্রেডিট কার্ডঃ ব্যাংকগুলি এমনকি ব্যক্তিগত ঋন গ্রহণকারী লোকদের শূন্য বার্ষিক ফি ক্রেডিট কার্ড সরবরাহ করছে।
অনলাইনে বিনামূল্যে ট্যাক্স ফাইলিং: ব্যক্তিগত ঋন গ্রাহকের জন্য এখন অনেক ব্যাংকের প্রতিনিধিগন অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করার জন্য সহায়তা প্রদান করে থাকেন।
অনলাইন আবেদনঃ কিছু কিছু ব্যাংক অনলাইনে ব্যক্তিগত ঋণের আবেদনের ব্যবস্থাও করেছে। যদিও এটি অপেক্ষাকৃত নতুন ধারনা যেখানে গ্রাহককে মোটেই ব্যাংকে আসার প্রয়োজন নেই এবং এমন কি যোগ্যতা নির্ধারণের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গ্রাহকদের বাসস্থান থেকে সংগ্রহ করা এবং ঋন ছাড় করা হয়। গ্রাহককে একবারের জন্যও ব্যাংক যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এই জাতীয় সুবিধা অবশ্য এখন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
এই জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে দেশে ব্যাংকগুলোর সম্ভাব্য কাঙ্ক্ষিত গ্রাহককে ব্যক্তিগত ঋন বিতরণের পরিমাণ যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও গ্রাহকদের জন্য সুবিধাগুলো বিস্ময়কর তবে এটি মনে রাখা দরকার যে ঋনের কিস্তি পরিশোধে যদি কেউ খেলাপি হয় তবে ব্যাংক সমানভাবে বিরুপ আচরণ করতে পারে। সুতরাং ঋন গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিচার- বিবেচনা প্রয়োগ করতে হবে। ঋন নির্বাচণে আরও সতর্ক হওয়া, পরিশোধের মেয়াদ, সুদের হার এবং ইএমআইয়ের মোয়া,সুক্ষ দিকগুলির বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।