সত্যি বলতে কি, ব্যক্তিগত ঋনের ব্যবহার সীমাহীন। আপনার ব্যক্তিগত যেকোনো প্রয়োজন আপনি মেটাতে পারেন। তবে আমরা আপনার জন্য মোটামুটি গবেষণা করে যে উপায়ে এটার সর্বউত্তম ব্যবহার করা যায় তার মূল কয়েকটি বনর্না করা হল এখানে:
১) ছোট ছোট ঋণ গুলোকে একীভূতকরাঃ সাধারণত ক্রেডিট কার্ডগুলিতে ব্যক্তিগত ঋনের চেয়ে সুদের হার বেশ খানিকটা বেশি। তাই অনেক লোক এই বিকল্পটি বেছে নেয় এবং ব্যক্তিগত ঋনের সাহায্যে কার্ড বা অন্যান্য ছোট ছোট ঋন বা ইএমআইয়ের বকেয়া পরিশোধ করে। এটা খুব সহজ হিসাব নয় কি!
২) গৃহসজ্জাঃ পার্সোনাল লোনের একটা বড় অংশ গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যেক মানুষই চায় একটু আভিজাত্য, আরাম আয়েশ আর এই কারনে গৃহের বিভিন্ন রকম ডেকোরেশন বা সাজসজ্জা অথবা মেরামতের কাজে এই টাকার ব্যবহার কম নয়। যেহেতু এটা একটা ভালো দৃশ্যমান টাকার ব্যবহার তাই ব্যক্তিগত ঋনের জন্য আবেদন এটা একটা অন্যতম কারন।
৩) বিয়েশাদীঃ বিয়ে সবার জীবনে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার৷ আর তাই এটাকে স্বরনীয় করে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি থাকে না কোনো পক্ষেরই। তাই খরচের পরিমাণটা ও নেহাত কম হয় না। আর এই কাজে সহযোগিতা করতে অনেক ব্যাংক পার্সোনাল লোন দিয়ে থাকে। আপনার নতুন জীবনের যাত্রা যাতে শুভ হয় তাই ব্যাংকগুলোর এই উদ্যোগ- যার মূল্য হিসেবে আপনাকে ইএমআই গুলো পরিশোধ করতে হবে।
৪) ব্যবসায়ীক প্রয়োজনেঃ
ব্যবসাকে আরও ভাল করতে সহায়তা করতে পারে এমন কিছু সেটা বিজ্ঞাপন হোক বা ক্যাফের কোণে নতুন পুল টেবিল সংযোজন অথবা নতুন আরেকটু মেশিন স্থাপন এসবই ব্যক্তিগত ঋনের জন্য আবেদনের উপযুক্ত কারণ হিসাবে দেখা হয়। যেটাকে আমরা বলি “টাকায় টাকা আনে” আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
আর উপরিউক্ত সবগুলো বৈধ কারন থাকা সত্বেও একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে যেকোনো লোনই পাশ হয় ব্যাংকের একমাত্র বিবেচনার ভিত্তিতে।