কে বলে যে থাকতে চিন্তা-ভাবনা শুধুমাত্র বড়দের জন্য? এই আর্টিকেলে আমরা তরুণদের জন্য কিছু আর্থিক অভ্যেস তুলে ধরবো যা তাদের ভবিষ্যতে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করবে।
তরুণরা যখন নিজেদের মধ্যে কথা বলে, তখন আর্থিক বিষয়গুলো কখনোই আলোচনার বিষয় হিসেবে শুরুতে উঠে আসে না। কিন্তু তরুণদের যদি শুরু থেকে সঠিক আর্থিক নির্দেশনা দেয়া যায় তাহলে তাদের আর্থিক ভবিষ্যৎ অনেক সুন্দর হতে পারে। হয়তো তরুণদের জন্য আর্থিক ব্যাপার গুলো অনেক বড় কোন বিষয় না, তার পরেও সঠিক আর্থিক অভ্যাস গুলো বয়সে গড়ে তোলা উচিত।
যখন আমরা অর্থনৈতিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যায় তখনই আর্থিক ব্যাপারটা বেশি করে অনুভব করি। এয়ারটেলে তরুণদের জন্য কিছু আর্থিক উপদেশ তুলে ধরছি। আপনি যদি তরুণ না ও হন তারপরও এগুলো আপনার কাজে লাগতে পারে।
প্রতি সপ্তাহে আপনার খরচের হিসাব করুন
সবচেয়ে সহজ এবং সাধারন একটি অভ্যাস হিসেবে তরুণরা সাপ্তাহিক খরচের হিসাব করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে। আমরা যে কারণে সাপ্তাহিক খরচ হিসাব করতে বলছি তার মূল কারন হচ্ছে তরুণরা এর মাধ্যমে নিজেদের আর্থিক অবস্থা বুঝতে শিখবে। যখন তারা সাপ্তাহিক হিসেব করতে অভ্যস্ত হয়ে যাবে তারপরে তারা মাসিক হিসাব কাকা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও তরুণদের জন্য মাসের হিসাব রাখার চেয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে হিসাব করে চলা অনেক সহজ। যেমন তারা যদি প্রত্যেকে সপ্তাহের হিসেব করে, তাহলে অনলাইনে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার অভ্যাস তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন
বেশিরভাগ তরুণদের জন্য অনেক টাকা জমানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারপরও আপনার পকেট মানি থেকে কিছুটা টাকা যদি আপনি আলাদা করে জমাতে থাকেন, তাহলে একটা সময় পরে আপনার মোটামুটি একটি সঞ্চয়ের অংক দাঁড়িয়ে যাবে। সব থেকে বড় কথা হল টাকা যতই কম হোক না কেন আপনার সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে উঠবে।
আপনার প্রয়োজন এবং চাহিদাকে আলাদা করুন
ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করলে বড়দের জন্যও চাহিদা এবং প্রয়োজন আলাদা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনার প্রয়োজনীয় কেনাকাটা না করলে আপনার জীবন যাপন কষ্টকর হয়ে যাবে। অন্যদিকে আপনি চাইলে আপনার চাহিদা পরেও পূরণ করতে পারবেন। আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা থাকে তাহলে প্রয়োজনে এবং চাহিদা একসাথে পূরণ করল সমস্যা হবে না। কিন্তু আপনার হাতে টাকার পরিমাণ কম থাকলে প্রয়োজন এবং চাহিদাকে আলাদা করুন। সবার আগে আপনার প্রয়োজন মেটানো উচিৎ তারপরে সম্ভব হলে চাহিদা পূরণের দিকে নজর দিন।
আপনার চাহিদাগুলোকে প্রয়োজন থেকে আলাদা করার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে লিস্ট তৈরি করা। আপনি কাগজে অথবা স্প্রেডশিটে দুটি পাশাপাশি কলাম নিন। এক কথায় আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বই খাতা, বাসার জিনিসপত্র, প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ইত্যাদি লিখে ফেলুন। অন্যদিকে আপনার চাহিদা তালিকায় থাকা জিনিসগুলো লিখতে থাকুন। যেমন বড় কোন ব্যান্ডের কনসার্ট, ডিজাইনার জামা কাপড়, দামি মোবাইল, ভিডিও গেম কনসোল ইত্যাদি।
ছোট্ট করে ক্রেডিট কার্ডের দুনিয়ায় প্রবেশ করুন
এ সময় হয়তো আপনার তেমন কোনো আয় নেই। হয়তো আপনার ক্রেডিট কার্ড এর লিমিট একেবারেই কম থাকবে। কিন্তু অল্প বয়স থেকে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনার জন্য ক্রেডিট কার্ডের কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। আপনি যদি দেশের বাইরে থাকেন তাহলে ক্রেডিট কার্ড এর সঠিক ব্যবহার আপনাকে ক্রেডিট স্কোর বাড়াতে সাহায্য করবে।