বর্তমান সময় কোন ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক প্রয়োজন হলে ব্যক্তিগত ঋণ অনেক মানুষই গ্রহণ করে থাকেন। ঋণের ধরনের নামকরণ দেখেই আশা করি বুঝতে পারছেন কে এই ঋণ আপনার যেকোন প্রয়োজনে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য ঋণ যেমন গাড়ির ঋণ, বাড়ির ঋণ, লেখাপড়ার ঋণ ইত্যাদি ব্যক্তিগত পর্যায়ের ঋণ হল এগুলো একটি নির্দিষ্ট কারনে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত ঋণ এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার যেকোন প্রয়োজন মেটাতে এই ঋণের অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।
তাহলে ব্যক্তিগত ঋণ এর বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?
There are several specific features which distinguish personal loans from types of credits available in the market today.
ব্যক্তিগত ঋণ এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো বাজারে ঋণ থেকে ব্যক্তিগত ঋণ কে আলাদা করে।
ব্যক্তিগত ঋণ এ কোন ধরনের জামানতের প্রয়োজন দরকার হয় না।
ব্যক্তিগত ঋণের যেহেতু কোনো নির্দিষ্ট ব্যবহারের ক্ষেত্র নেই, তাই ঋণগ্রহীতা তার যেকোনো প্রয়োজনে ব্যক্তিগত ঋণের অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হার অন্যধরনের ঋণের চেয়ে সাধারণত বেশ বেশি থাকে।
ব্যক্তিগত ঋণের মেয়াদ সাধারণত অন্যান্য যেকোন ঋণের থেকে কম থাকে। বেশিরভাগ সময় তা পাঁচ বছরের নিচে থাকে।
এবার জেনে নেই ব্যক্তিগত ঋণের মূল সুবিধা গুলো কি কি –
যদিও ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হার অন্যান্য ঋণ থেকে অনেক বেশি তারপরও ব্যক্তিগত ঋণ এর কিছু সুবিধা রয়েছে যা অন্যান্য বিভিন্ন ঋণের ক্ষেত্রে নেই।
ব্যক্তিগত ঋণের অর্থ দিয়ে ঋণগ্রহীতা চাইলে তার যেকোনো প্রয়োজনে এই টাকা খরচ হতে পারবেন এতে ঋণদাতা কোন ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি গ্রাহ্য হবে না। আপনি চাইলে বিদেশের ভ্রমণের ক্ষেত্রে, কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট কেনার ক্ষেত্রে, এমনকি ক্রেডিট কার্ডের বাকি টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যক্তিগত ঋণ ব্যবহার করতে পারবেন। অনেকে আবার গাড়ি বা বাড়ির ঋণের সাথে অতিরিক্ত কিছু টাকা যোগ করার জন্য আলাদা করে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে থাকেন।
ব্যক্তিগত ঋণ নিতে যেহেতু কাগজপত্রের ঝামেলা অনেক কম এবং অপেক্ষাকৃত দ্রুত ঋণ পাওয়া যায় তাই আপনার জরুরি টাকার প্রয়োজন হলে আপনি একটি ভেতরে নিয়ে তা কাজে লাগাতে পারবেন। আপনার যদি কাগজপত্র সব প্রস্তুত থাকে তাহলে এমন কি একদিনের মধ্যেও নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যক্তিগত ঋণ অনুমোদন হতে পারে।
ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে আপনাকে কোন ধরনের জামানত বা বন্ড সই করতে হয় না।
ব্যক্তিগত ঋণ আবেদন করার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন –
ব্যক্তিগত ঋণের অনেক সুবিধা থাকলেও আপনি কোন ধরনের ঋণ আবেদন করার আগে আপনার অন্য উৎস থেকে টাকা পয়সা জোগাড় করতে পারার সম্ভাবনাগুলো আগে যাচাই করে নিবেন।
ব্যক্তিগত ঋণ যেহেতু অনিরাপদ তাই ঋণদাতা অনেক চড়া সুদে ঋণ দিয়ে থাকে।
যেহেতু ব্যক্তিগত ঋণের মেয়াদকাল কম তাই ইএমআই অনেক বেশি হয়ে থাকে।
ব্যক্তিগত লোন সহজলভ্য হওয়ার কারণে অনেকেই এই টাকা অপ্রয়োজনীয় খরচে, বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচের ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন আপনাকে চড়া সুদে এই টাকা ফেরত দিতে হবে।
ব্যক্তিগত ঋণ যেহেতু নেয়া সহজ এবং অনেকেই নিতে চায়, তাই ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে থাকে। তাই ঋণ নেয়ার আগে আপনার ভালোভাবে যাচাই করে যেখান থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা আদায় করতে পারবেন তাদের থেকেই ঋণ নেয়া উচিত এবং কী পরিমান টাকা আপনাকে ইএমআই তে জমা দিতে হবে তা আপনি দিতে পারবেন কিনা তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নেয়া উচিত।