খারাপ সময়ের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরক্ষা হচ্ছে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখা।
আপনি যদি এখনও অর্থনৈতিক বিপদ সামলানোর জন্য কোনো পরিকল্পনা না করে থাকেন, তবে তা এখনই করে ফেলুন। আপনার এই পরিকল্পনা আপনাকে বিপদ আসলে ভেঙে ফেলবে না, মানসিক অশান্তি থেকে দূরে রাখবে, এবং বিভিন্ন বিপদে-আপদে (যেমন পারিবারিক সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা মহামারী) আপনাকে কিছুটা হলেও ভালো অবস্থানে রাখবে।
কয়েকটা ব্যাপার সব সময় মাথায় রাখবেন
আমরা কখনই আগে থেকে আন্দাজ করতে পারিনা যে কোন সময়ে কি রকম বিপদ আসবে। হতে পারে তার জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, কভিড-১৯ মহামারী কিংবা অর্থনৈতিক অথবা শারীরিক কোন বিপদ। এক্ষেত্রে আপনার যদি একটি আপদকালীন পরিকল্পনা থাকে, আপনাকে এবং আপনার প্রিয়জনকে সুবিধা দিবে।
আপনার বিপদ মুক্ত থাকার অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কাজ শুরু করার জন্য অনেক দেরি হয়েছে মনে করে থেমে থাকবেন না।
আর্থিক স্বাস্থ্য
আপনি যদি প্রস্তুত থাকেন আপনার অর্থনৈতিক যেকোনো দুর্গতির সময় মোকাবেলা করা সহজ হবে। আপনার আর্থিক স্বাস্থ্যের উপর নজর দিন। আপনার আয়, সঞ্চয়, বিনিয়োগ, সম্পদ ও ঋণের দিকে খেয়াল রাখুন। আপনি যদি অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার আর্থিক স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যের উন্নতি করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। নিচের বিষয়গুলির উপরে কাজ করতে পারেন:
দ্রুত কিছু টাকা জমান
আপনার যদি জরুরি তহবিল না থাকে, অথবা সব টাকা শেষ হয়ে যায় – তাহলে আপনার সবার আগে যে কাজটা করতে হবে তা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব কিছু টাকা জমাতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন:
ঋণ ব্যবস্থাপনা
আপনার যদি আগে থেকে অতিরিক্ত ঋণ না থাকে, তাহলে আর্থিক বিপদের মুখোমুখি হওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। কিছু কিছু ঋণ আপনাকে আপনার সম্পদ বাড়াতে সাহায্য করবে, যেমন বাড়ি কেনার ব্যবসার ঋণ। আবার কিছু কিছু দিন আপনার সম্পর্কে দিনদিন কমিয়ে দিবে। যেমন আমি নতুন গাড়ি কেনার ঋণ, কাপড়চোপড় কেনার জন্য ঋণ, এবং সাধারণভাবে ক্রেডিট কার্ডের ঋণ। তাহলে আপনি আর্থিক জরুরি অবস্থায় থাকুন বা না থাকুন যতটা সম্ভব এই বাজে ঋণগুলো থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকবেন।
স্বাস্থ্য সেবা
আপনার জীবন বীমা বা স্বাস্থ্যবিষয়ক কোন বীমা থাকলে তার আবার দেখে নিন। আপনার জরুরি অবস্থায় বিশ্বস্ত কাউকে স্বাস্থ্যবিষয়ক পাওয়ার অফ এটর্নি দিয়ে দিন। যাতে আপনি শারীরিকভাবে অক্ষম থাকলে ঐ ব্যক্তি আপনার হয়ে কাজ করতে পারবেন।
সম্পত্তির দলিল তৈরি করুন
আপনার যদি বয়স বেশি হয়ে থাকে তাহলে সম্পত্তির দলিল আপনি বেঁচে থাকতেই তৈরি করে রাখা ভালো। আপনার হয়তো এমন কোনো ইচ্ছা থাকতে পারে যা আপনি বেঁচে থাকতে কাগজে-কলমে সবাইকে জানিয়ে না গেলে আপনার মৃত্যুর পর সেই ইচ্ছা অন্যরা পূরণ না করতে পারে। কিন্তু আপনি সম্পত্তির দলিল তৈরি করে গেলে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কোর্ট কেউ না চাইলেও আপনার সম্পত্তি বন্টন করে দিবে।
বিপদ যদি এসেই পড়ে
যেকোন বিপদই কঠিন, আপনি যতটাই প্রস্তুতি নিন না কেন। কিন্তু আপনি যদি কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ না করে থাকেন, তাহলে বিপদের মোকাবিলা করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন জরুরি অবস্থা যেমন – প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শারীরিক অসুস্থতা অথবা অর্থনৈতিক মন্দা যে কোন সময় আসতে পারে। সেখানে যতটা পারেন প্রস্তুতি নিয়ে নিন। বিপদের সময় আপনি ভেঙে পড়বেন না, আপনার মানসিক কষ্ট কম হবে এবং বিপদ মোকাবেলার জন্য একটি মানসিক শক্তি পাবেন।